মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ায় গরুর সংখ্যা অনুযায়ী শেড ডিজাইন
মোটাতাজাকরণে গরুর শেড ডিজাইন কেমন হওয়া উচিত?
গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ায় গবাদি প্রাণিকে আবদ্ধ অবস্থায় পালন করতে হয়। তাই এদের বাসস্থান উত্তম ও সঠিক হওয়া বাঞ্ছনীয়। যেখানে পালন করা হয় সেই সমস্ত জায়গা ও আশপাশ পরিষ্কার – পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পানি ও বৃষ্টির পানি যাতে গড়িয়ে চলে যায় সেই জন্য বাসস্থান সামান্য ঢালু প্রকৃতির হলে ভাল হয়।
বাসস্থানের বিভিন্ন খুঁটিনাটি তথ্য নিচে তালিকায় বর্ণনা করা হলো –
জায়গা যোগান: গবাদিপশুর বসবাসের ক্ষেত্রে প্রতিটি গরুর জন্য ২০ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন। ৪টি গরুর জন্য সর্বমোট ৮০ বর্গফুট (৪ * ২০ = ৮০ ) জায়গার প্রয়োজন হয়।
গোয়ালঘর কেমন হবে: গোয়াল ঘরে গরু গুলোকে এক সারি বা ২ সারিতে রাখা যেতে পারে। গরু দাঁড়ানোর সম্মুখে খাবার চাড়ি/মেঞ্জার রাখতে হবে এরং মেঝে পিছনের দিকে ঢালু রাখতে হবে যাতে প্রস্রাব-পায়খানা গড়িয়ে পিছনের দিকে ড্রেনের মাধ্যমে সহজেই চলে যেতে পারে। এতে গোয়ালঘর পরিষ্কার – পরিচ্ছন্ন থাকবে।
ছাদ বা চালা: গোয়ালঘরের উপরের চালা বা ছাদ অল্প খরচে করাই ভাল । যেমন – ছাউনিতে খড়/ছন (ঘর ঠান্ডা থাকবে) অথবা ঢেউটিন দেওয়া যেতে পারে। টিন দিলে ঘর একটু উত্তপ্ত হয়। তাই টিনের নিচে চাটাই দিতে হবে। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে এবং শীতকালে কুয়াশার হাত থেকে রক্ষা করবে।
আলো-বাতাসের সুব্যবস্থা: ঘরের উচ্চতা ৭-১০ ফিট হতে হবে। উক্ত উচ্চতা বিশিষ্ট ঘরের দেওয়াল ৩ অংশ খোলা থাকবে । যাতে ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো-বাতাস পায়। ফলে রোগ জীবাণুর প্রকোপ কম হবে।
কোনদিকে গোয়ালঘর নির্মাণ করা ভালো: গোয়ালঘর উত্তর-দক্ষিণ মুখী হলে ভাল হয়। ঘরের দেওয়ালের বেড়া ইটের হতে হবে। বাকী ফাঁকা অংশ খুপড়ী বেড়ার মত করা যেতে পারে। তবে অত্যাধিক শীতের/বৃষ্টির সময় ফাঁকা অংশ চট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে যাতে প্রাণি শীতে/পানিতে ভিজে কষ্ট না পায়।
গোয়ালঘরের মেঝে: গোয়ালঘরের মেঝে পাকা হলে সবচেয়ে ভালো হয়। তবে তা ব্যয়বহুল হলে মেঝেতে ইট বিছানো যেতে পারে।