কোন ধরনের পণ্য কিনলে মোটাতাজাকরন ব্যবসায় লাভবান হতে পারবো?
ব্যবসায় পণ্য হচ্ছে লাভবান হওয়ার মূল চাবিকাঠি। ভুল চাবি দিয়ে যেমন ঘরের তালা খোলা যায় না, তেমনি পণ্য যদি মানানসই না হয় তাহলে ব্যবসায় লাভবান হওয়াও যায় না। তাই তো খামারীদের শুরুতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কেমন পণ্য তার ব্যবসার জন্য মানানসই হবে। যেমন –
গরু মোটাতাজাকরণ এর ফার্ম থেকে মূল পণ্য বলতে দুইটা জিনিস হতে পারে:
ক. বিক্রয়যোগ্য গরু
খ. প্যাকেটজাত মাংস
- বিক্রয়যোগ্য গরু:
যদি পরবর্তীতে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে খামারে গরু ক্রয় করা হয় তাহলে সাধারণত ১.৫ থেকে ২.৫ বছরের গরু নির্বাচন করাটা সবচেয়ে ভালো । কারণ গরু মোটাতাজাকরণ মূলত ৩-৬ মাসের জন্য করা হয় । তাই মাঝারী বয়সের বাড়ন্ত গরু কিনলে তা সহজেই যত্নের মাধ্যমে মাংসল বানানো যায়। মোটাতাজাকরণের ফলে দেখা যায় ১১০-১৫০ কেজি এর দেশী গরু মূলত ২০০-২২০ কেজি এর হয়ে থাকে। তারপর আসে বাজারজাতের পালা। তখন এই গরুকে মূলত দুই জায়গায় বিক্রি করা হয়ে থাকে।
১. কোরবানির হাটে
২. নিয়মিত বাজারে
- প্যাকেটজাত মাংস:
গরু মোটাতাজাকরণ ব্যবসার আরেকটি মূখ্যম বিষয় হলো প্যাকেট আকারে তা সরবরাহ করে বাজারজাত করা। কিন্তু সব ধরনের খামার থেকে প্যাকেটজাত মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয়। সাধারণত in-farm slaughter house যেসব খামারে থাকে সেসব খামার মূলত প্যাকেটজাত মাংস বিক্রি করতে পারে। তবে এর জন্য পূর্ব প্রস্তুতি এবং বিনিয়োগ থাকতে হয়। নাহলে কখনোই ভালো ফলাফল আশা করা যাবে না।
এবার চলুন মূল কথায় আসা যাক। কোন পণ্যের জন্য খামার করা হচ্ছে তা কেন আমরা আগে থেকেই নির্ধারণ করব? কারণ-
- পূর্বে নির্ধারণ করা থাকলে খামার এর ডিজাইন করতে সুবিধা হবে।
- পণ্য অনুযায়ী পরিবহনের ব্যবস্থা করা যাবে। এতে করে বাড়তি ভোগান্তি পোহাতে হবে না এবং ঠিকঠাক ভাবে এবং সময়মতো বাজারজাত করা যাবে।
- শুরুতেই কাজের ধরন অনুযায়ী লোকবল ঠিক করে রাখা যাবে।
- খামারের এলাকা ভিত্তিক সেখানকার বাজার চাহিদাও মূল্যায়ন করা যাবে।
তাই ব্যবসার শুরুতেই নির্ধারণ করতে হবে আমি কোন ধরনের ব্যবসা করতে চাই এবং তা আমার জন্য লাভজনক কিনা। তাহলে ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হবে।