খামারীদের বাজারজাতকরণ পরিকল্পনা
ধরুন, আপনি ঘরোয়া বুটিকের ব্যবসা শুরু করবেন। সে অনুযায়ী মালামাল কিনেও এনেছেন। কিন্তু আপনি যে ব্যবসা করছেন এ খবরই কেউ জানে না । আবার আপনিও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা না করেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এতে কি কখনও সফলতা আসবে? একজন সফল ব্যবসায়ী হতে গেলে প্রয়োজন সঠিক বাজারজাত পরিকল্পনা। আর সেই পরিকল্পনা কে ফলপ্রসূ করতে আপনাদের কী কী বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে সে সম্পর্কেই আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
কোন সময়কে টার্গেট করে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছেঃ
১) কোরবানীর সময়ঃ
কোরবানীর সময়কে সামনে রেখে মোটাতাজাকরণ প্রকল্প হাতে নিলে, কোরবানীর সম্ভাব্য তারিখের ৩ মাস অথবা ৬ মাস আগে থেকে প্রকল্প শুর করতে হবে, এতে করে গরুর যোগান পাওয়া ও লাভ পাওয়া অনেক সুবিধার হয়।
২) স্থানীয় বাজারঃ
কোরবানীর সময় ব্যতীত বছরের অন্য সময়গুলোতে মাংসের চাহিদা মেটাতে এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। ৩-৪ টি ব্যাচে গরু পালন করা হয়। এইভাবে গরু পালনের একটাই অসুবিধা, সেটা হচ্ছে গরু কিংবা মাংসের বাজারে প্রতিনিয়ত যোগান দিয়ে যেতে হবে এবং সবসময় চাহিদার মান এক থাকতে হবে। নাহলে খামারী লোকসানের মুখোমুখি হতে পারে।
মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের জন্য মেয়াদঃ
গরু মোটাতাজাকরণের জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদ কাল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ গরু দ্রুত মোটাতাজা হওয়ার নির্দিষ্ট সময় থাকে এবং এটি বিভিন্ন ফ্যাক্টরসমূহ যেমন- গরুর জাত, বয়স, খাদ্য ব্যবস্থাপনা, আবহাওয়া, মালিকের ব্যবস্থাপনা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল। উল্লেখিত ফ্যাক্টরসমূহ বিবেচনা করে গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের মেয়াদকাল কম পক্ষে ৪ মাস হওয়া বাঞ্জনীয়। তবে সময়কাল নির্ভর করবে গরুর শারীরিক বৃদ্ধির হার ও বর্তমান বাজার দর। এ জন্য প্রতি সপ্তাহে গরুর ওজন নিতে হবে এবং শারীরিক বৃদ্ধির হার হিসাব করতে হবে যে প্রতিদিন কত গ্রাম বা কেজি মাংস শরীরে বৃদ্ধি হচ্ছে।
পণ্য উৎপাদনের পর খামারীরা যদি তা লাভজনক দামে বিক্রিই করতে না পারেন তাহলে সব কষ্ট বৃথা। এক্ষেত্রে আর্থিক অবস্থার উন্নতি না হয়ে বরং অনেক অবনতি হয়। তাই সফল ব্যবসায়ী হতে গেলে বাজারজাত করণ পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে।